মাদারীপুরের রাজৈরে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত

মাদারীপুর প্রতিনিধি ॥

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের একটি সমিতির প্রায় ৫(পাচ) লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরিদাসদী গ্রাম উন্নয়ন সমিতির বর্তমান সভাপতি বায়েজিদ ফকিরের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রাজ্জাক মোল্যা ও মাঠকর্মীর রিপন বৈদ্যের যোগসাজশে প্রকল্পের সদস্যসের সঞ্চয় ও ঋণের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ৬০ সদস্য বিশিষ্ট হরিদাসদী গ্রাম উন্নয়ন সমিতি নামে একটি সমিতি গঠন করা হয়। ২ বছর পর জমাকৃত টাকার দ্বিগুন দেয়ার শর্তে প্রত্যেক সদস্য মাসিক ২শত টাকা করে সঞ্চয় জমা দিতে থকে। দুই বছর যাবৎ সঞ্চয় জমা দিলেও ঋণ না পেয়ে হতাশায় ভূগতে থাকে সদস্যরা। এদিকে রাজ্জাক মোল্লা ও রিপন সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোট সাইজের ছবি কৌশলে নিয়ে অফিসকে ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাত করেছে। সরেজমিনে গেলে সমিতি সদস্য বেগম ও জুলেখা জানান, আমাদের নামে লোন করা হয়েছে তা আমরা কিছুই জানিনা । এখন শুনতে পাচ্ছি আমাদের নামে লোন আছে। এমনি ভাবে ১০/১২ জন সদস্যের নামে লোন উত্তোলন আত্মসাত করা হয়েছে। এই -১০-১২ জন সদস্য ঋণ না নিয়েও ঋণের বোঝা বহন করে বেড়াচ্ছে। অনেককে ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও ঋণের কোন হদিস নেই। এখন সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তি নেয়া তো দুরের কথা ৮ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা ফিল্ড অফিসার মিলনের দেখাই মিলছে না। এ ব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য ও সমিতির সভাপতি রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের রাজৈর উপজেলা কো-অর্ডিনেটরের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মাঠ কর্মী মিলন জানায়, রাজ্জাক মোল্যা আমার বিশ^াসের সুযোগ নিয়ে ভুয়া লোন গ্রহীতা দেখিয়ে ১২/১৩টি লোন নিয়ে আত্মসাত করেছে, যা আমি বুঝতে পারিনি। অভিযুক্ত রাজ্জাক মোল্যা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আজ সোমবার অফিস থেকে অফিসার এসেছিল। হিসাব নিকাশ করে এ টাকা ৪ মাসে ৪ কিস্তিতে পরিশোধ করে দেব বলে কথা হয়েছে। চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, রাজ্জাক মোল্যা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। তবে সে (সাবেক সভাপতি রাজ্জাক মোল্যা) আত্মসাতকৃত টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে দেবে বলে সমজোতা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের রাজৈর উপজেলা কো- অর্ডিনেটর মেজবাহ উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহানা নাসরিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment